পাওয়ার ব্যাংক কি? কেন কিনবেন এবং কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন?

টেকনো ইনফোঃ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কে একটি মেগা পোস্ট।

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে গ্যাজেট ছাড়া দিনযাপন কল্পনাই করা যায় না বা অসম্ভব নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্মার্ট এই গ্যাজেট গুলোতে দরকার হয় এক্সট্রা পাওয়ার সোর্স। বিশেষ করে স্মার্টফোনগুলো বেশি ব্যবহার হওয়ায় এর ব্যাটারিও ড্রেইন হয় দ্রুত এবং এর জন্য আমরা পরে যাই বিপদে। আর এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে পাওয়ার ব্যাংক।

পাওয়ার ব্যাংক কি?


পাওয়ার ব্যাংক এমন একটি পোর্টেবল ডিভাইস যা একটি স্পেশাল সার্কিটের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে চার্জ নিয়ে থাকে। আর প্রয়োজনের মুহূর্তে অন্যান্য ডিভাইসে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে থাকে। ব্যাংকিং কনসেপ্ট থেকে এই ডিভাইসের নাম রাখা হয়েছে পাওয়ার ব্যাংক। ব্যাংকে যেমন বেশি টাকা রাখা যায়, আবার দরকার হলে তোলা যায়; পাওয়ার ব্যাংকেও বেশি পরিমাণে চার্জ নিয়ে রাখা যায় এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যবহার করা যায়। মূলত: পাওয়ার ব্যাংক একটি বহনযোগ্য চার্জার।

টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

পাওয়ার ব্যাংক

বিভিন্ন প্রয়োজনে বর্তমান সময়ে একটি বহনযোগ্য চার্জার সাথে রাখা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এই বহনযোগ্য চার্জারগুলি পাওয়ার ব্যাংক চার্জার নামে পরিচিত। আকারে অনেক ছোট বলে এ ধরনের পাওয়ার ব্যাংক আপনি সব সময় সাথে রাখতে পারবেন আর এই পাওয়ার ব্যাংক চার্জারগুলি প্রয়োজনের মুহুর্তে আপনার মোবাইলসহ ইউএসবি চার্জযোগ্য যে কোন ডিভাইসকে কিছু সময়ের মধ্যেই নতুন চালিকা শক্তি প্রদান করতে পারে।

একটি পাওয়ার ব্যাংক চার্জার দ্বারা একাধিকবার কোন ডিভাইসকে চার্জ করা সম্ভব। সংখ্যাটি কত তা নির্ভর করে আপনার ডিভাইস এবং পাওয়ার ব্যাংক চার্জারের ক্ষমতার উপর। পাওয়ার ব্যাংক চার্জার এর ক্ষমতাকে সাধারণত মিলিঅ্যাম্পায়ার ঘন্টা (mAh) হিসাবে পরিমাপ করা হয়। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, একটি আইফোন ৭ এর ১৯৬০ মিলিঅ্যাম্পায়ার ঘন্টার ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারী থাকে, যেখানে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮ রয়েছে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পায়ার ঘন্টার ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারী। সে হিসাব মতে ১০০০০ মিলিঅ্যাম্পায়ার ঘন্টার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাওয়ার ব্যাংক চার্জার একটি আইফোন ৭ কে ৩ বারেরও কিছু বেশি বার চার্জ করতে পারবে।

তবে পাওয়ার ব্যাংক চার্জার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার ফোনের ব্যাটারীর ক্ষমতা যেন কোনভাবেই আপনার পাওয়ার ব্যাংক চার্জার এর ক্ষমতার ৭০% এর বেশি না হয়।

কেন আপনার একটি পাওয়ার ব্যাংক প্রয়োজন?


এই ব্যস্ত জীবনে বিভিন্ন কারণে আপনার একটি পাওয়ার ব্যাংক চার্জার প্রয়োজন। যেমন-

স্মার্টফোনের ব্যাটারির সীমাবদ্ধতাঃ

প্রায় সময়ই দেখা যায় যে আমাদের ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলি সম্পূর্ণ এক দিন শেষ হবার আগেই তার ব্যাটারির চার্জ হারিয়ে ফেলে। এমন সময়ে আমাদের স্মার্টফোনটিকে পাওয়ার সেভার মোডে নেয়া, ফোনের ব্রাইটনেস পুরোপুরি কমিয়ে দেয়া বা ফোনটি যেন কোনভাবে চার্জে বসানোর মত কোন স্থানে পৌছানোর আগেই বন্ধ না হয়ে যায় সে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের হাজার প্রচেষ্টার পরেও কাঙ্খিত স্থানে পৌছানোর পূর্বেই আমাদের ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম সময় পাওয়ার ব্যাংকই আপনার স্মার্টফোনে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মূল সমাধান।

অরিজিনাল চার্জার অরিজিনাল নয়ঃ

ফোন কেনার সময়ই আমরা একটি চার্জার পেয়ে থাকি, যেটা অরিজিনাল অর্থাৎ ফোন কোম্পানীর নিজস্ব তৈরি চার্জার। কিন্তু আদতে অধিকাংশ ফোন কোম্পানিই নিজেরা চার্জার তৈরি করে না, বরং কোন থার্ড পার্টিকে দিয়ে তৈরি করিয়ে নেয়। ফলে, গুণগত মানের দিক থেকে সেগুলো খুব একটা ভাল হয় না। যার কারণে কয়েক মাস পরই দেখা যায় সেগুলো আগের মত সার্ভিস দিতে পারে না। দিন যেতে থাকে আর সেগুলো পাওয়ার হারাতে থাকে, তাই পাওয়ার ব্যাংকের প্রয়োজন।

ডুপ্লিকেট চার্জার দ্রুত নষ্ট হয়ঃ

অরিজিনাল চার্জার হারিয়ে ফেলা কিংবা নষ্ট হওয়ার পরে আমরা প্রায় অধিকাংশ ব্যবহারকারিই যেটা করে থাকি, সেটা হচ্ছে বাজার থেকে যেনতেন একটা চার্জার কিনে আনি। কিন্তু ভেবে দেখি না যেখানে অরিজিনাল চার্জারই ঠিক মতো সার্ভিস দিতে পারে না, সেখানে ডুপ্লিকেট চার্জার কিভাবে বেশি দিন টিকবে! অনেক সময় দেখা যায় ডুপ্লিকেট কিংবা অন্য ব্র্যান্ডের চার্জার দিয়ে চার্জ দিতে দিতে আমাদের সাধের ফোনটিই নষ্ট হতে শুরু করে। নষ্ট হওয়ার আগেই যদি পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা শুরু করা যায়, তো সাধের ফোনটিকেও রক্ষা করা যায়।

দ্রুত চার্জ করার জন্যঃ

দেয়ালে লাগানো প্লাগ আর মোবাইলের চার্জার দুইয়ে মিলে যে সময়ে একটি স্মার্টফোন চার্জ হয়, তার অনেক গুণ কম সময়ে চার্জ ফুল করে দেয় পাওয়ার ব্যাংক।

এক সঙ্গে অনেক ডিভাইস চার্জিংঃ

পাওয়ার ব্যাংকের অন্যতম একটা বড় সুবিধা হচ্ছে, এক সঙ্গে আপনি স্মার্টফোনসহ অন্যান্য অনেক ডিভাইস চার্জ দিতে পারেন। ২ থেকে শুরু করে এখন ৬ সকেটের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়, যার মানে এক সঙ্গে আপনি ৬টি ডিভাইস চার্জ দিতে পারবেন।

সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনই চার্জ দেয়া যায়ঃ

আপনি নোকিয়া বা স্যামসাং কিংবা যে কোন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনই ব্যবহার করুন না কেন, পাওয়ার ব্যাংক চার্জার দিয়ে আপনি অনয়াসেই চার্জ দিতে পারবেন সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন।

পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন


পাওয়ার ব্যাংক কেনাটা আজকাল অনেক সাধারন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে অনেক কোম্পানির এবং বিভিন্ন দামের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় একজন সাধারন ব্যবহারকারী প্রায়শই বিভ্রান্ত হয়ে পরে যে কোনটি কিনবেন আর কোনটি না কিনবেন তা নিয়ে। আসুন দেখি নেই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন।

ক্যাপাসিটির দিকে খেয়াল রাখুনঃ

পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ক্যাপাসিটি। বর্তমান বাজারে ১,৫০০ এমএএইচ থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজার এমএএইচ পর্যন্ত ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পাওয়া যায়। এই অবস্থায় আপনাকে নির্ণয় করতে হবে যে আপনি বেশি রিচার্জ সাইকেল চাচ্ছেন নাকি বেশি পোর্টাবিলিটি চাচ্ছেন এবং এর উপর নির্ভর করে আপনাকে একটি ক্যাপাসিটি পছন্দ করতে হবে।

একটি কথা আপনাকে পরিষ্কার করে দেই, অবশ্য অনেকে এটির ব্যাপারে ভুল ভেবে থাকেন। মনে করুন আপনার ফোনের ব্যাটারি ২,৫০০ এমএএইচ এবং আপনার পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি ১০,০০০ এমএএইচ। এর মানে কিন্তু এটা নয় যে আপনি আপনার ফোনকে ৪ রিচার্জ করতে পারবেন। দেখুন আপনার প্রোডাক্টটির গায়ে যদি ১০,০০০ এমএএইচ লেখা থাকে তবে এর ক্যাপাসিটি ১০ হাজার এমএএইচ ই হবে, কোম্পানি আপনাকে মিথ্যা কথা বলে না। কিন্তু যখন আপনার ফোনটিকে চার্জ করেন তখন কিছু এনার্জি লস হয়ে যায় এবং মোট ক্যাপাসিটির বাস্তবিকভাবে ৭৫-৯৫% কর্মদক্ষতা পাওয়া যায়। যদিও কর্মদক্ষতার শতকরা হার নির্ভর করে বিভিন্ন কোম্পানির উপর। অর্থাৎ ১০ হাজার এমএএইচ ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক ২,৫০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির মোবাইল ব্যাটারিকে প্রায় ৩ বারের মতো রিচার্জ করতে সক্ষম হবে।

এখন মনে করুন আপনার প্রোডাক্টের কর্মদক্ষতা ৭০% তবে আপনি পাবেন ৭ হাজার এমএএইচ সমান দক্ষতা, যদি কর্মদক্ষতা ৮০% হয় তবে পাবেন ৮ হাজার আর যদি হয় ৯০% তবে ৯ হাজার এমএএইচ সমান দক্ষতা পেতে পারেন। তো বর্ণিত ক্যাপাসিটি বাস্তবিকভাবে কখনোয় আসল হয়না, হালকা কম হতে পারে।

সর্বউত্তম পারফর্মেন্স পেতে ৮-১০ রিচার্জ সাইকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করুনঃ

একটি কথা জেনে রাখুন যে, একটি পাওয়ার ব্যাংক প্রথম ৮-১০ রিচার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ করার পরেই তার সর্বাধিক কার্যক্ষমতা প্রদর্শনের অবস্থায় প্রবেশ করে। আপনি একটি প্রোডাক্ট কিনলেন এবং মাত্র এক কিংবা দুইবার চার্জ করেই বুঝে যাওয়া সম্ভব হবে না যে প্রোডাক্ট টি ভালো না মন্দ। আপনাকে ৫-৬ বার এটাকে ব্যবহার করতে হবে এবং তারপরেই আপনি বলতে পারবেন যে আপনার প্রোডাক্টটি ভালো না মন্দ এবং তখনকার প্রাপ্ত আউটপুট একটি নির্দিষ্ট আউটপুট হবে।

প্রোটেকশন এর কথা মাথায় রাখুনঃ

এবার কথা বলা যাক প্রোটেকশন নিয়ে। দেখুন আপনি একটি হাই-ক্যাপাসিটি ব্যাটারি বহন করছেন, সেটা আপনার পকেটে হোক আর আপনার ব্যাগে হোক। তো এই অবস্থায় প্রোটেকশন অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পরে। পাওয়ার ব্যাঙ্কের প্রস্তুতকারী বড় কোম্পানি সমূহ আপনাকে মুলত ৪ টি প্রোটেকশন দিয়ে থাকে।

  • ওভার চার্জিং প্রোটেকশন
  • ওভার ভোল্টেজ প্রোটেকশন
  • সর্ট সার্কিট প্রোটেকশন
  • অধিক মাত্রায় গরম হওয়া থেকে প্রোটেকশন

এই চারটি প্রোটেকশন যদি আপনার পাওয়ার ব্যাংকটিতে থাকে তবে আপনি নিশ্চিন্তে তা যেখানে খুশি যেভাবে ব্যবহার ও পরিবহন করতে পারেন। এই চারটি প্রোটেকশন থাকার ফলে না তো আপনার ফোনের কোন ক্ষতি হবে আর নাই বা আপনার পাওয়ার ব্যাঙ্কটির কোন সমস্যা হবে। তাই কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে দেখুন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রোটেকশন গুলো আছে কি না।

আউটপুট পোর্টস গুলো দেখে নিনঃ

কিছু পাওয়ার ব্যাঙ্কে ১ টি সিঙ্গেল আউটপুট পোর্ট দেখতে পাওয়া যায় আবার কিছু পাওয়ার ব্যাঙ্কে ৩-৪ টি আউটপুট পোর্টস দেখতে পাওয়া যায়। এখন আপনি কোনটি পছন্দ করবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ব্যবহারের উপর।

আপনি যদি একটি ডিভাইজ চার্জ করতে চান তবে সিঙ্গেল আউটপুট পোর্ট কিনতে পারেন আর যদি একাধিক ডিভাইজ চার্জ করতে চান তবে ৩-৪ পোর্ট ওয়ালা কিনতে পারেন।

কিছু কিছু পাওয়ার ব্যাঙ্কে আবার দুইটি পোর্ট থাকলে একটি কম পাওয়ারের হয় আরেকটি বেশি পাওয়ারের হয়। আবার দুইটিই হাই-পাওয়ারের হতে পারে। প্রত্যেক পোর্ট এর ভোল্টেজ তো ৫ অথবা ৫.১ হয়, কিন্তু কারেন্ট কোন পোর্ট এ ১ অ্যাম্পিয়ার হয় আবার কোন পোর্টে ২.১ অ্যাম্পিয়ার হয়। তো এটি আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে যে আপনার প্রয়োজন কতটুকু। সেই অনুসারের আউটপুট পোর্টস ওয়ালা পাওয়ার ব্যাংক আপনি কিনতে পারেন।

কুইক চার্জিং প্রযুক্তি আছে কি না তা দেখে নিনঃ

একটি পাওয়ার অ্যাডাপটার থেকে যেমন মোবাইল ফোন কুইক চার্জ করা যায় তেমনি পাওয়ার ব্যাংক থেকেও কুইক চার্জিং সম্ভব। যে পাওয়ার ব্যাঙ্কে কুইক চার্জিং প্রযুক্তি থাকে সেই পাওয়ার ব্যাংক নিজে তো অনেক দ্রুত চার্জ হয়েই যায় আবার সাথাসাথি আপনার ফোনকেও অনেক দ্রুত চার্জ করতে পারে। এমন অবস্থায় একটি কোম্পানি আছে যার নাম অকি, এদের প্রোডাক্ট কুইক চার্জিং সমর্থন করে এবং অনেক ভালো মানের প্রোডাক্ট এরা বাজারজাত করে থাকে। আপনার ডিভাইজ দুইটিই যদি কুইক চার্জিং প্রযুক্তি ওয়ালা হয় তবে আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্যাবল লাগিয়ে বসে থাকতে হবে না। মাত্র ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টাতেই অনেক খানি চার্জ করে ফেলতে পারবেন।

আর হাঁ, আরেকটি কথা, আপনার ফোনটি যদি কুইক চার্জিং সমর্থন না করে তবে কুইক চার্জিং পাওয়ার-ব্যাংক কিনে কোন লাভ হবে না। সুতরাং শুধু তখনই কিনুন যখন আপনার ফোনেও এই প্রযুক্তি সমর্থন করার ক্ষমতা আছে।

অতিরিক্ত ইউটিলিটি আছে কিনা প্রয়োজন অনুসারে দেখে নিনঃ

অনেক পাওয়ার ব্যাঙ্কের সাথে ইন-বিল্ড টর্চ লাইট ফিচার দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি প্রায়ই বাইরে যেয়ে থাকেন বা কোন কাম্পেইং এ যান তবে ইন-বিল্ড টর্চ লাইট আপনার অনেক সাহায্য করতে পারে। কিছু পাওয়ার ব্যাঙ্কের সাথে আবার ব্লু টুথ স্পীকার ও দেখতে পাওয়া যায় এবং সাথে এফএম রেডিও ও থাকে। তো দেখে নিন এগুলো আপনার প্রয়োজন আছে কিনা।

ভালো কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক কিনুনঃ

দেখুন যতোদূর আমার অভিজ্ঞতা, সে থেকে বলবো সাওমি কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক অনেক ভালো হয়ে থাকে। তাছাড়া হুয়াওয়ের ১৩ হাজার এমএএইচ পাওয়ার ব্যাংক অনেক ভালো হয়। তাছাড়া ওয়ান প্লাস, সনি, স্যামসাং সহ আপনি যেকোনো একটি নামধারি কোম্পানির পাওয়ার-ব্যাংক কিনতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না, আশা করা যায়।

ক্যাবল দেখে কিনুনঃ

কিছু কিছু পাওয়ার ব্যাঙ্কে একদম লাগানো ক্যাবল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা ক্যাবল লাগানো থাকে। আপনি যদি একদম সহজ পোর্টাবিলিটি চান বা আপনি যদি আলাদা ক্যাবল বহন করার ঝামেলা না করতে চান তবে ইন-বিল্ড ক্যাবল ওয়ালা পাওয়ার-ব্যাংক কিনতে পারেন।

পলিমারই ভরসাযোগ্যঃ

বর্তমানে প্রধানত ২ ধরনের ব্যাটারি দেখা যায়। একটা লিথিয়াম-আয়ন, অন্যটা লিথিয়াম-পলিমার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখা, দ্রুত এবং সঠিক চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে পলিমার ব্যাটারি বেশি ভরসাযোগ্য হয়।

আশাকরি উপরের পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। বাজারে বিভিন্ন দামের এবং কোয়ালিটির পাওয়ার ব্যাংক থাকলেও আপনার প্রিয় ডিভাইসটির কথা চিন্তা করে ভালো ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। সবাই ভাল থাকবেন।আজকের মত বিদায়। আল্লাহ্ হাফেজ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button