অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন কি? জেনে নিন গুগল ক্রোমের কয়েকটি প্রয়োজনীয় প্লাগইন সম্পর্কে!

টিআইবিঃ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেটে ঢু মারেন না এমন লোক সংখ্যা খুবই কম। ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে আপনার কাঙ্খিত সেবাটি পাওয়ার জন্য কিছু বিষয় জানা খুব জরুরী। আজ আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে সেই জরুরি বিষয় অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্রাউজারের এক্সটেনশন/ প্লাগিন / অ্যাড-অন সম্পর্কে আলোচনা করব।
অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন কি?
অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন হল এমন প্রোগ্রাম (মূলত প্রোগ্রামের অংশ), যা কোনো প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের সাথে যুক্ত হয়ে ঐ প্রোগ্রাম/সফটওয়্যারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিছু এক্সটেনশন এইচটিএমএল, জাবাস্ক্রিপ্ট ও সিএএসএসের মত ওয়েব টেকনোলোজি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। আবার কিছু ব্রাউজার এক্সটেনশন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এফিআই) বা মেশিন কোড ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
একটা ওয়েবপেজের ভিজিবল অংশের কনটেন্টে কোন রূপ পরিবর্তণ না করে, ব্রাউজার এক্সটেনশন সরাসরি ওয়েব ব্রাউজিংয়ের ইউজার ইন্টারফেস পরিবর্তণ করে ফেলে।
টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
উদাহরন দিলে এভাবে বলা যায়, আপনি যোগ/বিয়োগ/গুন/ভাগ সব পারেন, এখন এগুলো করার জন্য যদি আপনাকে একটি ক্যালকুলেটর দেয়া হয় তাহলে আপনি এগুলো আরো ভালো ভাবে করতে পারবেন! তো আপনার জন্য ক্যালকুলেটর হচ্ছে একটি অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন। যা আপনার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে!
বর্তমানে প্রায় সব সফটওয়্যারের একটা সাধারন বৈশিষ্ট্য হল এই অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন। একেক সফটওয়্যার একেকটা শব্দ ব্যবহার করে। যেমনঃ
- ব্রাউজার সফটওয়্যার (মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম ইত্যাদি) – অ্যাড-অন।
- ছবি আকার সফটওয়্যার (ফটোশপ ইত্যাদি) – প্লাগইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার (ড্রিম ওয়েভার, ব্রাকেটস ইত্যাদি) – এক্সটেনশন ইত্যাদি।
যে শব্দই ব্যবহার করুন না কেন সব গুলো একই অর্থই প্রকাশ করে।
প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন বা প্লাগইন
১। ImTranslator -Translator, Dictionary:
এটা খুব সাধারণ একটা ট্রান্সলেটর যা প্রায় সব ভাষা থেকে অন্য সব ভাষায় অনুবাদ করতে সক্ষম। এখানে আছে অমুক ভাষা থেকে তমুক ভাষায় রুপান্তর এর ট্যাব। যেমন ইংলিশ টু জার্মান বা বেঙ্গলি ইত্যাদি। চাইলে অপশন থেকে ডিফল্ট ভাষা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন মানে যদি বাই ডিফল্ট ইংলিশ টু বাংলা চান সেটা। শুধু মাত্র লিখায় ডাবল ক্লিক করে আইকন সিলেক্ট করেই ভাসমান বক্স এ হাজির হয়ে যাবে আপনার চলমান ডিকশনারি।
২। Checker Plus for Gmail™:
এটা জি-মেইল এর নটিফিকেশন পাওয়ার একটা প্লাগিন। আমার জন্য এটা খুবই কার্যকর কারণ আমার চারটি আইডির সব গুলি ফ্রিকুয়েন্টলি এক্সেস করতে হয় প্রতিনিয়ত। আর তাই এই প্লাগিন টার মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি, যদিও অনলাইন এ এটা একদম ফ্রি। আপনি চাইলে শুধু আইকন এ ক্লিক করেই এক্সেস করতে পারবেন সব গুলি জি-মেইল এর মেইল গুলি, খুঁজতে পারবেন মেইল আর লিখতেও পারবেন যে কাউকে এই ইলেকট্রনিক চিঠি শুধু মাত্র এখান থেকেই। ডেক্সটপ নটিফিকেশন পাবেন প্রতিটা মেইল এলে আর তাতে করে মিস যাবে না একটিও দরকারি ই-মেইল।
৩। Adblock Plus:
এটি একটি অ্যাড ব্লক প্লাগিন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে অনলাইনের অ্যাড গুলি কি? অনেকে হয়ত ভাবছেন ভিডিওতে যে অ্যাড আসে বা ফেসবুকে নানান ব্র্যান্ড গুলির অ্যাড গুলিকে আমি মিন করছি কিন্তু না। প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইউস করতে হয়, তো একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সেখানে বিভিন্ন থার্ডপার্টি অ্যাডস রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন অনলাইন শপ ভিজিট করেন তবে দেখবেন কোথাও অটো ভিডিও প্লে হচ্ছে, কোথাও বা নীল সবুজ বাটন ঝাপিয়ে ডাউনলোড করতে উশকানি দিচ্ছে। এই বাজে জিনিস গুলি রোধ করতে এই প্লাগিন এর জুড়ি নেই।
৪। CLUT-Cycle Last Used Tabs:
জানি না এটা আপনাদের জন্য কতটা দরকারি তবে আমার এই প্লাগিন ছাড়া চলে না এক সেকেন্ডও। হয়তো জানেন, যদি ব্রাউজার এক সাথে একাধিক যেমন ৫-১০ টা ট্যাবস খোলা থাকে তাহলে CTRL+TAB চেপে ট্যাব গুলির বাম থেকে ডানে কিংবা CTRL+SHIFT+TAB চেপে আবার ডান থেকে বামে ক্রমান্বয়ে আসা যাওয়া করা যায়। যেমন ট্যাব ১ থেকে ট্যাব ১০ এ যেতে পারা যায় একের পর এক। কিন্তু ধরুন, আপনি কিছু দেখে একটা ফর্ম লিখছেন কিংবা দুইটা লিখার মধ্যে কম্পেয়ার করছেন তো আপনাকে নির্দিষ্ট দুইটা ট্যাব এ আসা যাওয়া করতে হচ্ছে যেমন ট্যাব ৪ এবং ট্যাব ৯। তো বার বার CTRL+TAB আর CTRL+SHIFT+TAB চাপার থেকে এক বার মাত্র আপনার সেট করে দেয়া কি চেপে আপনি চাইলেই সয়াপ করতে পারেন নির্দিষ্ট দুইটি ট্যাব এ। আমার যেমন ALT+W সেট করা আছে। তো আমি চাইলেই শুধু এই কি দুইটা এক সাথে চেপে লাস্ট এক্সেস করা দুইটা ট্যাবে সব সময় যেতে আসতে পারি।
৫। Read Aloud- A Text to Speech Voice Reader:
এটা খুবই মজার একটা প্লাগিন। এট মাধ্যমে আপনি কোন ওয়েবসাইট থেকে লিখা গুলো টেক্স টু ভয়েস এ কনভার্ট করে শুনতে পারবেন। মজার ব্যাপার হল, এতে আপনি বাংলা লিখা ও পড়তে পারবেন। উচ্চারন খুব ভালো না হলেও অন্তত গুগোল ট্রান্সলেটের মতো না, মানে মেল ভয়েস এ ভালোই বুঝা যায়। এতে চাইলে লিখা সিলেক্ট করে শুনতে পারেন বা পুরো ওয়েবসাইট টা শুরু থেকে শুনতে পারেন। ইন্সটল করে একটু ঘাটাঘাটি করলেই বুঝে যাবেন পুরো প্রসেসটা।
৬। Awesome Screenshot:
ফেসবুকে চ্যাট করছেন। হঠাৎ মনে হল বন্ধুর বলা মজার কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করবেন। কিন্তু ছবি তুলে সেটা সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে Awesome Screenshot এক্সটেনশন। এক্সটেনশন টি ইন্সটল করলেই আপনার ব্রাউজারে একটি আইকন আসবে। সেটি ক্লিক করে আপনি ব্রাউজারের যেকোনো কিছুর স্ক্রিনশট নিতে পারবেন। স্ক্রিনশট নেবার জন্য ক্রোম স্টোরে অনেকগুলো এক্সটেনশন রয়েছে। তবে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায় দেখে Awesome Screenshot সবগুলো এক্সটেনশন থেকে আলাদা।
৭। ColorZilla:
এটা সাধারণত যারা ডিজাইনার বা কালার নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো একটা প্লাগিন! এখান থেকে আপনি চাইলে ওয়েবসাইট থেকে কালার পিক করতে পারবেন। পারবেন আর জি বি কালার চুস করতে। এমন কি প্যালেট ব্রাউস করা থেকে শুরু করে আপনি কোডিং এর জন্য সিএসএস কালার কোডও নিয়ে নিতে পারবেন এই প্লাগিন এর সাহায্যে!
৮। Fontface Ninja:
প্রফেশনাল গ্রুপ গুলিতে প্রায়ই দেখি অনেকে ফন্ট নিয়ে পোস্ট দেন। এটা কোন ফন্ট, এটার নাম কি, এটা কই পাবো ইত্যাদি। তাদের আহাজারির দিন শেষ, কারণ এই ফন্টফেস নিনজা এক ক্লিকেই বের করে দেবে স্ক্রিন এর সব ফন্ট এর জীবন বৃত্তান্ত। এমনকি কোন ছবিতে কি ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, এটা দিয়ে সেটাও বের করে ফেলা যাবে এক নিমিষে। শুধু তাই নয়, এটি এক্টিভ থাকা অবস্থায় যে কোন ফন্টে মাউস নিয়ে গেলে ইন্সট্যান্টলি দেখাবে ফন্ট এর নাম, কালার, কতো পিক্সেল সাইজ আর কতো টুকু স্পেস ইউস করা হয়েছে। চাইলে এখান থেকে ফ্রি ফন্ট গুলি ডাউনলোডও করে ফেলতে পারেন। যারা টাইপগ্রাফি কিংবা ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য এটা হতে পারে সোনার খনির মতো একটি প্লাগিন। কারণ রেগুলার ব্রাউজিং এ আমরা এমন হাজারো ফন্ট দেখতে পাই, যা কিনা আমাদের কালেকশনে থাকলে খুব ভালো হত বলে আফসস করি। কিন্তু ফন্টের নাম ঠিকানা না জানার কারণে তা ডাউনলড করতে পারিনা। তো এখন থেকে আশা করি আমরা সেটা পারবো।
৯। IE Tab:
ব্রাউজার হিসেবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অনেক পুরোনো এবং জনপ্রিয়। এমন অনেক ওয়েব সাইটই রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য বিশেষভাবে অপটিমাইজড করা। অর্থাৎ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মাধ্যমেই কেবল সাইটগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে দেখা যায়। ক্রোম ব্রাউজার থেকে সেসব সাইট দেখতে রয়েছে এই এক্সটেনশনটি। এটি ক্রোম ব্রাউজারের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার তৈরি করে। অর্থাত ক্রোম থেকেই আপনি এক্সপ্লোরার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এতে। ক্রোম ওয়েব স্টোরে এক্সটেনশন এর ডেভেলপার টুলস ক্যাটাগরিতে রয়েছে এটি।
১০। Alexa traffic rank:
অ্যালেক্স ট্রাফিক র্যাংকিং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ওয়েব সাইটের র্যাংকিং এর গ্রহণযোগ্য একটি মান। ক্রোমের এই এক্সটেনশটির মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইটের প্রায় সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। যেমন, অ্যালেক্সার র্যাংকিং এ সাইটটির স্থান কত, কোনো দেশে এটির স্থান কত, সাইটটি লোড করতে গড়ে কত সময় নেয় প্রভৃতি তথ্য এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য ওয়েব সাইটের তুলনামূলক তথ্য পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে। ক্রোম ওয়েব স্টোর এর এক্সটেনশনস এর ডেভেলপার টুলস ক্যাটাগরিতে রয়েছে এটি।
১১। Loom Video Recorder- Screen, Webcam and Mic:
এটা একটা ওয়েব বেইসড স্ক্রিন রেকর্ডার। এটা দিয়ে আপনি চাইলেই অনায়াসে অনলাইন থেকে কোন প্রকার সফটওয়্যার ব্যবহার না করেই শুধু ওয়েবসাইটে মাধ্যমে যে কোন ভিডিও (ফেস সহও স্ক্রিন) রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে আছে শেয়ার ও ট্রিম/কাটার ব্যবস্থা। চাইলে দেখতে পারেন কে কে ভিডিওটি ভিউ করলো যদি তাদের লগিন করা সাইট থেকে শেয়ার করে তাহলে অথবা ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিজের মতো করে অন্য কোথাও পোস্ট করতে পারেন।
১২। Save to Pocket:
একদম পকেটের কাজটিই করে এই প্লাগিনটি। ধরুন আপনি প্রতিদিন ৫০টি ওয়েবসাইট ব্রাউস করেন। এমন অনেক সাইট থাকে যেগুলো হয়তো পরে পড়বেন বলে রেখে দিতে হয়। তো সেই সাইট বা সেই পেজটির ঠিকানা লিখে রাখতে হয় বা বুকমার্ক করে রাখতে হয় ব্রাউজারের উপরে। সেটা দেখতেই যেমন বাজে দেখা যায় আর কয়েকশো বুকমার্ক হয়ে গেলে দরকারি জিনিসটা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার যদি ব্রাউজার আনইন্সটল বা উইন্ডোজ রিসেট হয়ে যায়, তো কথাই নেই। আরেকটা প্রবলেম হল যেখানে যেটা সেভ করে রাখব, সেখান থেকেই তা পড়তে হবে মানে সেই ডিভাইসেই। এই সমস্যার সমাধানে আপনি চাইলে পকেট প্লাগিনটি ইউজ করতে পারেন। এখানে আপনি চাইলে শর্টকাট কি ইউস করে বা সরাসরি আইকনের উপর ক্লিক করে আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইট বা পেজ ভিজিট করতে পারবেন।
১৩। Session Buddy:
আমার কাছে এখনকার সব থেকে দরকারি একটা প্লাগিন। তবে অনেকের কাছেই ইউসলেস মনে হতেই পারে! প্লাগিনটির কাজটা আগে বুঝিয়ে বলি। এটি ট্যাবগুলো সেভ করে রাখে! আরেকটু ক্লিয়ার করি? এই মুহূর্তে আমার ক্রমে ৩০টি মত ট্যাব খোলা আছে। এর মধ্যে সব সময়ই দরকার হয়ে এমন ট্যাব ১৫টি মতো। তো হঠাৎ করে পিসি অফ হয়ে গেলে বা ব্রাউজার বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না। (যদিও ব্রাউজারে একটা অপশন আছে যেখান থেকে অফ হবে আবার সেই খান থেকে লোড নেবে ট্যাব গুলি, তবে এটা সব সময় কাজ করে না)। তাই এই সেশন বাডি দিয়ে আমরা এই ট্যাব গুলি আলাদা ভাবে সেভ করে রাখতে পারি। এমন কি একটি এক্সিকিউটেবল ফাইল হিসেবেও যা পরে কিনা আবার যে কোন ডিভাইস থেকে সেশন বাডি দিয়ে লোড করতে পারি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সূত্রঃ সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।