মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর ৮টি প্রয়োজনীয় অ্যাপস

টিআইবিঃ ইউটিউব এর এই যুগে ভিডিও আপলোড হচ্ছে অহরহ। কিন্তু কোন ভিডিও আপলোড করার জন্য সেটাকে এডিট করার প্রয়োজন হয়। মোবাইল সাংবাদিকতা জনপ্রিয় ও গুরুত্ববহ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য কয়েকটি ক্লিকে ভিডিও তৈরি করাটাও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
টেকনো ইনফো বিডি‘র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি তে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে নিয়ে আসলাম মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপস এগুলো দিয়ে পথেঘাটেও খুব দ্রুত সহজে ভিডিও এডিটিং করা যায়-
১। ম্যাজিস্টো (Magisto)
এই অ্যাপটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (artificial intelligence) ব্যবহার করে কাজ করে এবং আগের স্টাইল অনুসরণ করে নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারে। আপনাকে শুধু যেসব ক্লিপ ব্যবহার করতে চান সেগুলো আপলোড করতে হবে।
এর এডিটিং নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তাই অভিজ্ঞরা এটা পছন্দ না করলেও নতুনদের জন্য এটা খুব কার্যকরি। এটা ফ্রি পাওয়া যায়, আবার টাকা দিয়েও কেনা যায়। আইফোন আর আন্ড্রয়েড দুটোতেই চলবে।
২। পাওয়ার ডিরেক্টর (PowerDirector)
এই অ্যাপটা আইমুভি সফটওয়ারের মতো। কিন্তু এটা শুধু আন্ড্রয়েডে চলে। এতে সব ধরনের জরুরি ফিচার রয়েছে, যা ট্রিম, ট্র্যানজিশনসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। এটি ব্যবহার করতে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট ফি দেয়া লাগবে।
? ডাউনলোড Android
৩। আইমুভি (iMovie)
এটা শুধু আইফোনে ব্যবহার করা যাবে। মোবাইলে এডিটিং করার সফটওয়ারের মধ্যে এটা অন্যতম। আইমুভি ব্যবহার করা সহজ। এটার বেসিক ভার্সনটি ফ্রি পাওয়া যায়।
৪। লুমা ফিউশন (LumaFusion)
আইফোনে ব্যবহারের জন্য ১৯.৯৯ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে লুমা ফিউশন। এতে ডেক্সটপে এডিটিং-এর সব সুবিধা পাওয়া যাবে। ইউজাররা মাল্টি ট্র্যাক এডিটিং করতে পারবেন এবং যোগ করতে পারবেন এনিমেশন, ইফেক্ট, টাইটেলসহ অনেক কিছু।
? ডাউনলোড iOS
৫। কিনেমাস্টার (KineMaster )
এই মোবাইল এডিটিং সফটওয়ার আইফোন ও আন্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করা যায়। এতে মাল্টিপল লেয়ার, অডিও নিয়ন্ত্রণ, থিম ও রঙ নিয়ন্ত্রণসহ অনেকগুলো এডিটিং ফিচার রয়েছে।
তবে এসব ব্যবহার করতে হলে পয়সা খরচ করতে হবে। বিনা পয়সায় ভিডিও এডিট করলে তাতে এক ধরনের বিশেষ চিহ্ন দিয়ে দেবে সফটওয়ারটি। পেশাদার কাজে এটি ব্যবহার করতে প্রতিমাসে দিতে হবে ৪.৯৯ মার্কিন ডলার।
৬। স্প্লাইস (Splice)
গো-প্রো ক্যামেরা প্রস্তুতকারকদের তৈরি এই সফটওয়ারটি আইফোনে ব্যবহার করা যায়। এটি বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে, ব্যবহার করাও সহজ। অন্যান্য এডিটিং সফটওয়ারের সব সুবিধা এতে রয়েছে। ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে ক্লিপ ট্রিম ও ক্রপ করতে পারবেন এবং যোগ করতে পারবেন ইফেক্ট, টাইটেল, ট্র্যানজিশন ও মিউজিক। তবে আন্ড্রয়েড ফোনে এটা ব্যবহার করা যাবে না।
৭। কুইক (Quik)
এটাও গো-প্রো’র তৈরি। কিন্তু, স্প্লাইসের ছোট সংস্করণ। এটা আন্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করা যায়। পথ চলতে চলতে দ্রুত এডিট করার জন্য এটা দারুণ অ্যাপ। তবে, এটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার অপশন কম। এটা ব্যবহার করতে কোনো টাকা খরচ হবে না।
৮। অ্যাডবি প্রিমিয়ার ক্লিপ (Adobe Premiere Clip)
অ্যাডবি এডিটিং সফটওয়ারের নির্মাতারা এই ফ্রি অ্যাপটি তৈরি করেছেন। এটা অ্যাডবি এডিটিং সফটওয়ারের সঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। আবার আলাদাভাবেও ব্যবহার করা যায়। এটাতে নিজস্ব পছন্দে বা অটোমেটিক অপশন দিয়ে এডিট করা সম্ভব। ফ্রি এই অ্যাপটি আইফোন ও আন্ড্রয়েড দুটোতেই ব্যবহার করা যায়।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।