ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপি হলো চট্টগ্রামের আজমীর ট্রেডিং

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকার ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক ইদ্রিস মিয়া। তিনি আমির মার্কেট এলাকার আজমীর ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী। তিনি ভোজ্যতেল, গম ও ডাল আমদানি করতেন। ব্যবসার সাফল্যে হয়েছিলেন নিজ এলাকার পৌরসভার চেয়ারম্যান। পরে সে দায়িত্ব ছেড়ে আবার ব্যবসায় ফেরেন। এরপর নানা জটিলতায় ব্যবসায় দেখা দেয় মন্দা। তিনি হয়ে পড়েন ব্যাংকে ঋণখেলাপি।
ব্যবসার প্রয়োজনে ইদ্রিস মিয়া ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে। ব্যাংকটির পাওনা ২২ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৬২২ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের বিপরীতে বন্ধক থাকা সব সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং আগামী ১৪ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জ শাখায় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
ইউনিয়ন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণের বিপরীতে আজমীর ট্রেডিংয়ের বন্ধক থাকা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে হালিশহর আনন্দবাজার এলাকার ৯৫৭ শতাংশ জমি ও কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা মৌজার পাঁচ শতাংশ জমিসহ তিনতলা ভবন। এ সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
জানা যায়, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকার ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক ইদ্রিস মিয়া আজমীর ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী। তিনি ভোজ্যতেল, গম ও ডাল আমদানি করতেন। এ ব্যবসায় তিনি ভালো মুনাফা করেছিলেন। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি নিজ এলাকা পটিয়া ছনহরা এলাকার চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। তবে কয়েক বছর ধরে তিনি ব্যবসায় লোকসান করেন। এর পর থেকে ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আজমীর ট্রেডিং আমাদের খেলাপি গ্রাহক। আর খেলাপি ঋণের দায়ে আমরা বন্ধক থাকা সব সম্পত্তি নিলামে বিক্রির চেষ্টা করছি। তার এখন তেমন ব্যবসা নেই। তবে আমাদের কাছে থাকা বন্ধকি সম্পত্তি দিয়ে লোন পুরোটা কাভার হবে। এর পরও আমরা পাওনা আদায়ের জন্য চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে আজমীর ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘আমার মূলত ব্যবসা ছিল বিটুমিন ও সোডা আমদানি করা। এরপর যুক্ত হয় সয়াবিন তেল, গম ও ছোলা আমদানি। কিন্তু ব্যবসায় কিছু লোকের কাছে টাকা পাওনা রয়ে যায়। এতে ব্যবসায় চলতি মূলধন আটকে যায়। চেষ্টা করছি ব্যাংকের দায় শোধ করার জন্য। আমরা যে জমিগুলো আছে তার বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকারও কাছাকাছি। এগুলো সেল করে ব্যাংকের দায় শোধ করব। আসলে এখন তো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো নয়।’ আপনি কি রাজনীতিতে বেশি সময় দেওয়ার কারণে লোকসানে পড়েছেনÑএর প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম ব্যবসায় আসি ১৯৭৮ সালে। পরে ’৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। এর পর থেকে আমরা ব্যবসা খারাপ হতে শুরু করে।’ শেয়ার বিজ, ডিসেম্বর ৬, ২০২০।