আবারও রেমিট্যান্সে রেকর্ড, বরাবরের মতো শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক

চলতি নভেম্বর মাসের মাত্র ১২ দিনেই দেশে প্রবাসী আয় (রেমিটেন্স) এসেছে ১০৬ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। কোনো একক মাসের এত কম সময়ে এত বেশি প্রবাসী আয় আসার উদাহরণ আর নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ৯৮৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৬৮৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি এসেছে ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সারা বিশ্ব। এই সময়ে আমাদের প্রবাসী আয়ের যোদ্ধারা কষ্ট করে দেশে অর্থ পাঠিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।’

টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে বৈধপথে প্রবাসী আয় পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই প্রবাসী আয় আসা বাড়তে থাকে। অনেকেই তখন বলা শুরু করলেন যে এগুলো টেকসই হবে না। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে—বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। পরিমাণ ৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। ১১ কোটি ৮ লাখ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। ১১ কোটি ১ লাখ নিয়ে তৃতীয় ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক।

আরও দেখা যায়, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিডিবিএল ও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বিদেশি ব্যাংক আল ফালাহ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, হাবিব ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এই সময়ে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

Related Articles

Leave a Reply