এনআরবিসি এখন পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক

পরিচালকদের বিভেদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনিয়মে বড় ধরনের বিপদে পড়েছিল চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ২০১৭ সালে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। টালমাটাল পরিস্থিতি পেছনে ফেলে গত তিন বছরে ব্যাংকটি সমৃদ্ধির পথে হেঁটেছে। এ সময়ে এনআরবিসি সমসাময়িক সব ব্যাংককে পেছনে ফেলে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকে রূপান্তর হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসএম পারভেজ তমাল।

পুনর্গঠনের পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকের যত ধরনের বৈশিষ্ট্য ও কার্যক্রম থাকার দরকার, এনআরবিসি তা অর্জন করেছে। আমরা ব্যাংকের অফশোর ইউনিটও চালু করেছি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিকে সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যাংকটি।

পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প এবং কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের সব প্রান্তে সেবা পৌঁছতে প্রথাগত শাখানির্ভর ব্যাংকিং ধারণা থেকে বের হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উপশাখা সেবা চালু করেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য অফলাইন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইলজড অনলাইন সেবা চালু। এতে ব্যাংকের কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহজ হবে।

তিনি বলেন, এনআরবিসি প্রবাসীদের স্বপ্নের ব্যাংক। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করা। ইতোমধ্যে সারা দেশে ৩৬৭টি উপশাখা চালু করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে অবস্থিত। গরিব মানুষের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিআরটিএ লাইসেন্স, ইটিআইএন, অনলাইন জমি রেজিস্ট্রেশন অর্থ আদায় কার্যক্রমে চতুর্থ প্রজম্মের এনআরবিসি ব্যাংক বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করছে। বৈদেশিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট চালু করা হয়েছে।

পারভেজ তমাল বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর প্রথম কোনো ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা মূল্যমানে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হব।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এমডি মো. মুখতার হোসেন বলেন, করোনাকালে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগেও ঋণ দিচ্ছে। করোনাকালে ২০২০ সালে অনেক কঠিন ছিল।

Related Articles

Leave a Reply