অনুমতি ছাড়া গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে জেল-জরিমানা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো কাছে কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) এমন নির্দেশনাযুক্ত ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন-২০২১’ পরিপালনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও দেখুন:
– মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান
– ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
গতকাল রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী, ব্যাংকের মতো এনবিএফআইয়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো কাছে কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য একই নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়, অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের তথ্য দিতে পারবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক বা তাদের অনুমোদিত বা নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ মানি লন্ডারিং অপরাধে তদন্তকারী যে কোনো সংস্থা চাইলে গ্রাহকের তথ্য নিতে পারবে।
এছাড়া ব্যাংককে সেবা দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ আইনজীবী, পরামর্শক বা উপদেষ্টা ছাড়া অন্য কারও কাছে তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আইনে আউটসোর্সিং ব্যবস্থার আওতায় ব্যাংকিং বা অনুষঙ্গ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে তথ্য প্রকাশ করা যাবে।
ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন কোনো সেবাদানকারী তৃতীয় পক্ষের কাছেও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহকের আমানতের তথ্য প্রকাশ করতে হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সম্মতি নিতে হবে। ঋণের তথ্য প্রকাশের আগে গ্রাহককে এ বিষয়ে জানাতে হবে।