অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বাড়াবেন যেভাবে

টিআইবিঃ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্মার্টফোন সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ। এক জরিপ করে দেখা যায় যে, অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলি ক্রয় করার সময়ে বেশ দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়ে থাকলেও সময় এবং ব্যবহার বাড়তে থাকার সাথে সাথে ফোনের গতিও ক্রমশ কমে আসতে শুরু করে। যার ফলে অভিজ্ঞদের কাছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সচরাচর যে-সব প্রশ্নগুলি করে থাকেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটি হলো তারা কিভাবে তাদের শখের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিকে পূর্বের গতি ফিরিয়ে দেবেন।

তাহলে চলুন আর দেরী না করে জেনে নিই এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতিকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে-

প্রধান সমস্যাটি খুঁজে বের করুন

কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে জানতে হবে যে সমস্যাটি কেন সৃষ্টি হচ্ছে তাহলেই তার সমাধানও বের করা সম্ভব। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড স্লো হয়ে গেলে সেটির গতি পুনরুদ্ধার করার জন্য জানতে হবে যে কি কারণে ফোনটি স্লো হয়ে যাচ্ছে।

টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

ভিন্ন ভিন্ন ফোনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কারণে ফোনের গতি স্লো হতে পারে। তবে এ কাজটি আপনার জন্য সহজ করে দিতে পারে Qualcomm এর Trepn Profiler অ্যাপ। এই অ্যাপটি আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন কোরের রিয়্যাল টাইম সিপিইউ লোডসহ ডাটা এবং ওয়াইফাই এর নেটওয়ার্ক ট্রাফিক, জিপিইউ লোড এবং র‌্যাম ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে থাকে।

তাছাড়া অ্যাপটির মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ আপনার সিস্টেমের কতটুকু মেমোরী ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সে সব তথ্যও জানা সম্ভব। যার উপর ভিত্তি করে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোনটি স্লো হওয়ার কারণ কি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

অ‍্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস মুছে ফেলুন

অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমানে আন্ড্রয়েড অ্যাপস ইন্সটল করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই আছেন এসব অ্যাপস অযথা ইন্সটল করে রেখেছেন। অর্থাৎ, অ্যাপস ব্যবহার না করলেও অ্যাপস ইন্সটল করে রাখেন । যদি আপনার আন্ড্রয়েড ফোন এধরনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস থাকে তাহলে সেগুলো মুছে ফেলুন। যদি কখনো প্রয়োজন হয় পরে না হয় এসব অ্যাপস আবার ইন্সটল করে নিবেন। কেননা, অতিরিক্ত অ্যাপস আপনার আন্ড্রয়েড ফোনের গতি কমিয়ে দিবে।

ডিভাইসের স্টোরেজ পরিষ্কার করুন

অনেকের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ অপ্রয়োজনীয় ফাইল দিয়ে পূর্ণ করা থাকে, যা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলেট করে দিন। এতে, একদিকে যেমন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের গতি বাড়বে অন্যদিকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ খালি হবে।

ভাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন

মোবাইল ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি। তবে, মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা সময় মেমোরি কার্ডটি মানসম্মত কি না তা যাচাই করে দেখি না। নিম্নমানের মেমোরি ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমে যায় অপরদিকে মেমোরি কার্ড ডেটা ট্র্যান্সফারের গতি কম থাকে।

এক্ষেত্রে, আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল কম্পিউটারে ব্যাকআপ রেখে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে আবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি ভাল রাখতে, আপনার উচিত হবে মান সম্মত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা।

অপ্রয়োজনীয় ওয়াইগেট মুছে ফেলুন

অ্যান্ড্রয়েড প্রচুর ওইজেট রয়েছে। সাধারণত এসব ওয়াইগেট অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়া নানা কাজে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীগন এসব ওয়াইগেট ব্যবহার করেন। অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমানে ওয়াইগেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত ওয়াইগেট আপনার ডিভাইস এর গতি কমিয়ে দিতে পারে। তাই, আপনার আন্ড্রয়েড ফোনে যদি অপ্রয়োজনীয় ওয়াইগেট থাকে তাহলে সেগুলো মুছে ফেলুন। আর যথাসম্ভব কম ওয়াইগেট ব্যবহার করুন। এতে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বেড়ে যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ক্যাশ মুছে ফেলুন

আন্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করার ফলে অ্যাপসের ক্যাশ আপনার আন্ড্রয়েড ডিভাইস স্লো করে দিতে পারে। তাই, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ক্যাশ মুছে ফেলতে পারেন। এসব ক্যাশ মুছে ফেলার জন্য আপনি চাইলে অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। এতে, আপনার ফোনের গতি কিছুটা বাড়বে।

ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করুন

যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অবস্থা অতিরিক্ত খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করে নিতে পারেন। ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করার আগে অবশ্যই আপনার আন্ড্রয়েডের সমস্ত ডাটার ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন। কেননা, ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করলে ফোনের সমস্ত ডাটা মুছে যায়। এরপর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সবকিছু নতুন ভাবে সেট-আপ করুন।

স্টার্ট-আপ অ্যাপস নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আমরা অ্যান্ড্রয়েড বেশ কিছু অ্যাপস দেখি যেসব অ্যাপস অটো স্টার্ট আপ ফিচার সমৃদ্ধ। অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস চালু হওয়ার সাথে সাথে এসব অ্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। যাদের র‌্যাম কম তাঁরা এ ধরনের অ্যাপস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কেননা এতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের গতি কমে যেতে পারে। আপনি চাইলে এসব অ্যাপসের স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টার্ট আপ বন্ধ করতে পারেন।

সাহায্য নিতে পারেন কিছু অ্যাপসেরও

অ্যান্ড্রয়েড মানেই অ্যাপসের মজা। প্রতিটি প্রয়োজন মেটাতেই রয়েছে অ্যাপসের চাহিদা। তেমনি অ্যান্ড্রয়েডে ফোন ক্লিন রাখতে ব্যবহার করতে পারেন কিছু অ্যাপসও। যেগুলো আপনার স্মার্টফোনটি রাখবে ফ্রেশ। আর ফ্রেশ মানেই গতিময় পথ চলা? আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটির স্পিড ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন 1Tap Cleaner, Android Assistance, App 2 SD, 360 Mobile Security ইত্যাদি অ্যাপস।

লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার বন্ধ করুন

চেষ্টা করুন যতসম্ভব লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ না করতে। আপনি জানেন লাইভ ওয়ালপেপার মোবাইল ফোনের সৌন্দর্য বাড়ায়। কিন্তু সম্ভবত এটা জানেন না যে, লাইভ ওয়ালপেপার মোবাইলের পারফর্মম্যান্স কমিয়ে দেয়। কারণ লাইভ ওয়ালপেপার অ্যানিমেশন হওয়ার কারণে ফোনের পাওয়ারের প্রয়োজন হয়।

তাই যদি লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ করে থাকেন তবে একটু মন কে বুঝিয়ে লাইভ ওয়ালপেপারটি বন্ধ করুন। এর চেয়ে ভালো রকমের সাধারন কোন ওয়ালপেপার ব্যবহার করে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার অ্যান্ড্রয়েডের গতি এবং ব্যাটারি উভয়ই সাশ্রয় হবে।

অ্যাপসের লাইট ভার্সন ব্যবহার করুন

ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জার এবং অপেরার মত জনপ্রিয় অ্যাপগুলির পাশাপাশি বহুসংখ্যক অ্যাপসের লাইট ভার্সন বর্তমানে গুগল প্লে ষ্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপসের লাইট ভার্সন সাধারণত ফোনের গতির দিকে লক্ষ্য রেখেই ডিজাইন করা হয় এবং এটি সেই সব ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী যারা সবকিছু সাধারণভাবে দেখতে পছন্দ করেন।

লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহারের ফলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে, সাথে সাথে আপনার ফোনের ডাটা খরচের পরিমাণও কমে আসবে।

সব সময় ফোনকে আপডেট রাখুন

ফোন আপডেট করা নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে আর তা হলো ফোন আপডেট করলে সেটি আগের তুলনায় স্লো হয়ে যায়।

অ্যান্ড্রয়েডের প্রতিটি নতুন ভার্সনেই অধিকতর ভালো স্পিডের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই আপনার ব্যবহৃত ফোনের যদি নতুন কোন আপডেট এসে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি করে নেওয়া উচিত। নিঃসন্দেহে এটি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বৃদ্ধি করবে।

অপরদিকে যদি এমন হয় যে ফোন নির্মাতা কোম্পানী আপনার ব্যবহৃত মডেলের নতুন কোন আপডেট দিচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আপনি কাস্টম রম ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন। প্রায় প্রতিটি কাস্টম রম তৈরীর ক্ষেত্রেও ফোনের পারফরমেন্সকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।

মেমোরী কার্ড ফরম্যাট করুন

আপনার ফোনের ব্যবহৃত অ্যাপগুলি যদি প্রায়ই ক্র্যাশ করে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এর জন্য আপনার এক্সটারনাল মেমোরী কার্ডটি অনেকাংশে দায়ি। আমরা অনেকেই নতুন ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরাতন ফোনে থাকা মেমোরী কার্ডটি কোন রকম ফরম্যাট না করেই সেটিকে নতুন ফোনের সাথে সংযুক্ত করে থাকি। এর ফলে পুরাতন ফোনে থাকা বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাটা থেকে যায় যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড এর স্পিডকে প্রভাবিত করে থাকে।

তাই মেমোরী কার্ড ফরম্যাট করলে একদিকে যেমন অপ্রয়োজনীয় ফাইল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, অপরদিকে এটি ফোনের স্পিডেরও উন্নতি সাধন করে থাকে।

ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন

২০১৭ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকেই ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের গুরুত্বের বিষয়টি সবার নজরে আসা শুরু করে এবং ২০১৮ সালের শুরুর দিকে তা তুমুল জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল এটি একই সাথে আপনার তথ্য বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রন করার সুবিধা দেয়, সেই সাথে আপনার ফোনের মূল্যবান মেমোরীকেও রক্ষা করে। কারণ এটি আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে যে আমরা যতটা ইন্টারনাল স্টোরেজ রক্ষা করে চলতে পারবো আমাদের ফোনের গতিও তত বেশি অক্ষত থাকবে।

বর্তমানে ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজেও অনেক বেশি পরিমাণ স্পেস দেওয়া হয়ে থাকে যা আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে ধারণ এবং নিরাপদ রাখার জন্য যথেষ্ট।

ভালো লাঞ্চার ব্যবহার করুন

কাস্টম লাঞ্চার ব্যবহারে ফোনের স্পিড বৃদ্ধির সাথে সাথে ফোনকে একটি নতুন ইন্টারফেস প্রদান করাও সম্ভব। একটি কাস্টম লাঞ্চার হয়তো হার্ডওয়্যারগত দিক থেকে তেমন কোন সুবিধা দিতে পারবে না। তবে অ্যান্ড্রয়েড এর বিল্ট ইন লাঞ্চারের থেকে এটি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনকে অনেক বেশি দ্রুত রান করাতে সক্ষম হবে।

তাছাড়া একটি ভালো মানের লাঞ্চার শর্টকাট এবং অন্যান্য কাস্টমাইজেশনের দিকে লক্ষ্য রেখে ডিজাইন করা হয় বলে এটি দ্বারা খুব সহজেই ফোনের অন্যন্যা কার্যাবলি দ্রুতগতিতে সম্পাদন করা সম্ভব হয়। তাই কোন নির্ভযোগ্য কোম্পানীর লাইট ভার্সনের লাঞ্চার ব্যবহার আমার কাছে সবচেয়ে বেশি উত্তম বলে মনে হয়।

যতটা সম্ভব শান্ত থাকুন

কথাটা হজম করা অনেকের কাছেই মুশকিল বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যখন আপনার ফোনটি কোন কারণে হ্যাং করে তখন প্রতিনিয়ত স্ক্রিন ট্যাপ করলে ফলাফল খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সাধারণত ফোনের সম্পূর্ণ র‌্যাম যখন কোন অ্যাপ বা প্রসেস এর দ্বারা ব্যবহৃত হয় তখন ফোন হ্যাং করে থাকে।

এমন অবস্থায় স্ক্রিন বার বার ট্যাপ না করে একটু সময় নিয়ে হোম বাটন চেপে ধরা উচিত এবং হোম স্ক্রিনে আসার পর রিসেন্ট অ্যাপ থেকে যে অ্যাপটির কারণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে সেটি রিমুভ করে দেওয়া ভাল। যদি তাতেও সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে পাওয়ার বাটন চেপে ধরুন এবং ফোনটি রিস্টার্ট করুন।

ডেভেলপার অপশন চালু করুন

ডিভাইসের গতি বৃদ্ধি করার জন্য প্রথমেই আপনার ফোনে ডেভলপার অপশন চালু করতে হবে। এজন্য ফোনের সেটিংস অপশন থেকে অ্যাবাউট ফোনে যেতে হবে। সেখান থেকে ফোনের বিল্ড নম্বরে বার কয়েক চাপ দিতে হবে। তাহলেই আপনার ফোনে ডেভলপার অপশন চালু হবে। এরপর বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে করলেই আপনার ফোনের গতি বৃদ্ধি পাবে।

অ্যানিমেশন বন্ধ করুন

ডিভাইসের গতি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ফোনের অ্যানিমেশন। অ্যানিমেশন অতিরিক্ত পরিমাণ বেশি হলে ফোনের গতি কমে যায়। এ কারণে অ্যানিমেশন কমিয়ে এবং সবচেয়ে ভালো হয় অ্যানিমেশন বন্ধ করে দিলে। এটা করার জন্য আপনাকে সেটিংস থেকে ডেভলপার অপশনে ঢুকতে হবে। সেখান থেকে উইন্ডো অ্যানিমেশন স্কেল খুঁজে বের করে তা কমিয়ে/বন্ধ করে দিতে পারেন।

অ্যাপস আপডেট রাখুন

অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপসগুলো আপডেট রাখা খুব জরুরি। আপডেট না রাখলে আপনার ফোনের গতি মন্থর হওয়ার কারণ হতে পারে এই অ্যাপসগুলো। এজন্য আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। যে কোনো অ্যাপসের নতুন আপডেট আসলে সেই অ্যাপসটি আপনার কাছে অনুমতি চাইবে। আপনার কাজ শুধু সেটাকে অনুমতি দেয়া। অবশ্য সেজন্যে আপনাকে কিছু পরিমাণ ডাটা খরচ করতে হবে।

নেটওয়ার্ক সেটিং চেক করুন

নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণের পরও যদি ওয়েববের ধীরগতি বজায় থাকে তবে ফোনের সেটিং চেক করে দেখতে হবে। এজন্য ফোনের সেটিং থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে হবে। ফোনের মেনুর নামগুলো ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসে ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়। নিশ্চিত করতে হবে ফোনটি সঠিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত আছে এবং এটি ২জি বা ৩ জিতে রেস্টিকটেড করে দেওয়া নেই। বিশ্বের অধিকাংশ এলাকায় জিএসএম/ ডবিল্গউসিডিএমএ/ এলটিই নেটওয়ার্ক চলে। তাই এগুলোতে প্রথমে চেষ্টা করে দেখতে হবে। এগুলো কাজ না করলে আপনার এলাকাতে কোনো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় সেটা দেখতে হবে। কিছু ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক খুঁজে নেয়।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এ নিয়ে আলোচনা সম্ভবত অ্যান্ড্রয়েড রিলিজের পর থেকেই শুরু হয়েছে। যদিও পূর্বের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলোর চাইতে বর্তমানের রিলিজ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলি অনেক বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন, কিন্তু তারপরেও শুধু মাত্র অপারেটিং সিস্টেম দ্রুত গতির হলেই ফোন দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়ে যায় না।

দ্রুতগতির জন্য চাই হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম এর মধ্যে যথাযথ সামঞ্জস্যের সৃষ্টি করা এবং সেটিকে বজায় রাখা। আপনার ফোনটি যে প্রসেসর এবং যত পরিমান মেমোরী সম্পন্ন হোক না কেন, যদি অ্যাপগুলিকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ না করা হয় তাহলে ফোনের গতি কমে আসতে বাধ্য।

সবাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন। প্রযুক্তি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button