বাংলাদেশে ভিন্ন ধারার ব্যাংকিং ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরেই শুরু: মুনিরুল মওলা

৩৮ বছর আগে ভিন্ন স্রোতে হাঁটতে শুরু করেছিল একটি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে থাকবে কিনা, শুরুতে ছিল সেই শঙ্কাও। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। শুধু বাংলাদেশই নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ব্যাংকটি।
পথযাত্রার দীর্ঘ এ সময়ে ইসলামী ব্যাংক শুধু নিজেকেই বড় করেনি। বরং দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। এস আলম গ্রুপ, আবুল খায়ের, বিআরবি, বসুন্ধরা, যমুনার মতো দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপের বেড়ে ওঠার সঙ্গী ছিল ইসলামী ব্যাংক। আবার নাসা গ্রুপ, নোমান গ্রুপের মতো বৃহৎ করপোরেট গ্রুপের জন্মই হয়েছে এ ব্যাংকের হাত ধরে। একক ব্যাংক হিসেবে দেশের বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ইসলামী ব্যাংক।
প্রায় চার দশকের পথচলায় দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। শুধু ২০২০ সালেই ব্যাংকটির মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকার পণ্য। গত বছর সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে ব্যাংকটির মাধ্যমে। আর এক বছরে প্রবাসীদের পাঠানো ৪৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্সের মাধ্যমও ছিল ইসলামী ব্যাংক। আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে গত বছর ইসলামী ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের পথচলা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী ধারার ব্যাংক হিসেবে। সময়ের বিবর্তনে এ ব্যাংকটি বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিংয়ের পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যে পদাঙ্ক অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে ইসলামী ধারার আরো ১১টি ব্যাংক। দেশের প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের শাখা ও উইন্ডো খুলছে। সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ ইসলামী ধারায় চলছে। দেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং জনপ্রিয় করে তোলার কৃতিত্বও ইসলামী ব্যাংকের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা মনে করেন, বাংলাদেশে ভিন্ন ধারার ব্যাংকিং ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। দেশে এখন প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোও ইসলামী ধারায় যুক্ত হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারণ হচ্ছে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং। স্রোতের বিপরীত এ ধারাকে জনপ্রিয় করে তোলার পথিকৃৎ ইসলামী ব্যাংক। দেশের প্রত্যেকটি বড় শিল্পগ্রুপের বিকাশে এ ব্যাংকের অবদান আছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইসলামী ব্যাংকের অবদান যুগান্তকারী।
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ। এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহক ব্যাংকটিতে জমা করেছে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার আমানত। গ্রাহকদের আমানত থেকে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে বেসরকারি খাতে। সম্পদের দিক থেকে এ মুহূর্তে দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। তাদের হাত ধরে গত ৩৮ বছরে ঠিক কত লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, তার একটি পরিসংখ্যান পেয়েছে বণিক বার্তা। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের ৩৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে গড়ে উঠেছে। আর টেক্সটাইল খাতের ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ব্যাংকটির বিনিয়োগে।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশে রফতানিমুখী শিল্পায়নের বিকাশ শুরু হয়েছিল আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে। আর ওই সময় এ শিল্পের বিকাশে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তৈরি পোশাক খাতের ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নে আমাদের ব্যাংকের কর্মকর্তারাই মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন।
ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এখানে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক শুধু আমদানি বাণিজ্য করেছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ১৫০ কোটি টাকার। ব্যাংকটির মাধ্যমে পণ্য রফতানি হয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার। বিশ্বের ৬১১টি করেসপন্ডেন্টস ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইসলামী ব্যাংক। মূল ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিংয়ের সম্প্রসারণেও অন্যদের ছাড়িয়ে গেছে ব্যাংকটি। বিশ্বের বৃহৎ ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তহবিল এনে বিনিয়োগ করছে ইসলামী ব্যাংক। অফশোর ইউনিটের বিনিয়োগ ৭০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্তও উঠেছিল বলে জানান ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম শক্তির জায়গা হলো অফশোর ব্যাংকিং। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডসহ বিশ্বের বৃহৎ অনেক ব্যাংকের কাছ থেকে ইসলামী ব্যাংক চাওয়া মাত্রই তহবিল পায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উজ্জ্বল ভাবমূর্তির কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংক সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে মনে করেন মো. মাহবুব উল আলম। এ বিষয়ে তার ভাষ্য হলো, ইসলামী ব্যাংক এখন জাতি, ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার ব্যাংক। গত কয়েক বছরে এ ব্যাংকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পাশাপাশি ভিতও শক্তিশালী হয়েছে। বাইরে থেকে ইসলামী ব্যাংকের যে পরিচ্ছন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে, ভেতরের পরিস্থিতিও তাই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৃষ্টিতেও এ ব্যাংকের অবস্থান শক্তিশালী।
বর্তমানে দেশে ছয় হাজারের বেশি শিল্প-কারখানা ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। আবাসন খাতের বিনিয়োগে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ১০ শতাংশের বেশি। দেশের পরিবহন খাতের মোট বিনিয়োগের প্রায় ১৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ইসলামী ব্যাংকের। এ ব্যাংকের বিনিয়োগকৃত রেজিস্টার্ড যানবাহনের সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি। রয়েছে ৪২১টি নৌ-পরিবহনে বিনিয়োগ। ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে দুই হাজারের বেশি কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ২৬টি পাটকল পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাংকের অর্থায়নে।
ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের ১৭ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বেসরকারি পর্যায়ে সার আমদানিতেও ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়ন সর্বোচ্চ। পচনশীল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য অর্ধশতাধিক কোল্ড স্টোরেজে অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে স্থাপিত হয়েছে ৮৫২টি অটো রাইস মিল। দেশের প্রথম অটো রাইস মিল ও রাইস ব্র্যান অয়েল মিল (ধানের তুষ থেকে ভোজ্য তেল তৈরির কারখানা) স্থাপনে প্রথম অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে শূন্য থেকে দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপের কাতারে উঠে এসেছে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপ। শিল্পগ্রুপটির স্বপ্নদ্রষ্টা মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগে নাসা গ্রুপের সূচনা হয়েছিল। ৩১ বছর আগে আমি এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম ঋণপত্র খুলেছিলাম। নাসা গ্রুপের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে ইসলামী ব্যাংকই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। গত বছর শুধু এ ব্যাংকের মাধ্যমে নাসা গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার আমদানি-রফতানি হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মজুমদার নিজেও ইসলামী ধারার এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা সৎ ও ব্যবসাবান্ধব। এ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। দেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকের পথপ্রদর্শন এ ব্যাংকটিই করেছে। আমি মনে করি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বড় সম্পদ। এ সম্পদটি যেন সঠিক পথে পরিচালিত হয়, সেই প্রত্যাশা করি।
উৎপাদন সক্ষমতা ও কর্মসংস্থানের বিচারে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপ। এ শিল্পগ্রুপটির জন্ম হয়েছিল ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে। দীর্ঘদিন ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের অভিজ্ঞতা বিষয়ে জানতে চাইলে নোমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক শহীদুল্লাহ চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, নোমান গ্রুপের পথচলা এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশে ইসলামী ব্যাংকের অবদান উল্লেখ করার মতো। আমাদের প্রত্যাশা, ব্যাংকটি দেশের শিল্পের বিকাশে যুগের পর যুগ ভূমিকা রেখে যাবে।
১৯৯৫ সাল থেকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) নামে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির বিস্তৃতি হয়েছে দেশের ২৫ হাজার ৭৭৪ গ্রামে। প্রকল্পটি থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছেন ১৩ লাখের বেশি গ্রাহক। এ প্রকল্পের অধীনে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণগ্রহীতাদের ৯২ শতাংশই নারী।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রবাসীদের কাছেও যথেষ্ট আস্থা অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক। দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের এক-তৃতীয়াংশ আসছে ব্যাংকটির মাধ্যমে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সিংহভাগই ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা রেমিট্যান্স দেশে এনেছে ইসলামী ব্যাংক।। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ইসলামী ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরে ২১ জন প্রতিনিধির মাধ্যমে কাজ করছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪৭ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেমিট্যান্স সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের।
মুসলিমদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের অনুসারীদের মাঝেও ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকটির সার্ভারেও গ্রাহক তথ্যে ধর্মভিত্তিক কোনো বিভাজন রাখা হয়নি। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের দাবি, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের অন্তত ১০ শতাংশ অমুসলিম। ইসলামী শরিয়াহ অনুসরণ করেই অন্য ধর্মাবলম্বীরা ব্যাংকটি থেকে ঋণ নিচ্ছেন। ব্যাংকটির তথ্য বলছে, ইসলামী ব্যাংকের গ্রথম ঋণগ্রহণকারী গ্রাহক ছিলেন কেশবেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী। মতিঝিলে ইস্টার্ন টাইপরাইটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে টাইপরাইটার আমদানির জন্য ৫ লাখ টাকার ঋণপত্র খোলার মাধ্যমে ব্যাংকটির বিনিয়োগ শুরু হয়েছিল।
গরিব, দুস্থ, অসহায় মানুষের কল্যাণে ১৯৮৪ সালে ‘সাদাকাহ ফান্ড’ গঠন করে ইসলামী ব্যাংক। পরে ব্যাপকভিত্তিক কাজের জন্য ‘ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর অধীনে ১৯টি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্নমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
One Comment