রবি ক্যাশ’র মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট কিনুন

টিআইবিঃ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন? ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যাবে দীর্ঘ লাইন। কিন্তু ডিজিটাল যুগে কেন আপনি রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনবেন?

মোবাইল ফোন অপারেটর ও ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি নিজস্ব ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন রবি ক্যাশ’র মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট কেনার সেবা প্রদান করছে। এর ফলে ঈদের ছুটিতে স্বাচ্ছন্দে ট্রেনের টিকেট কিনতে পারবেন রবি গ্রাহকরা। প্রিয়় বন্ধুরা, আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে রবি ক্যাশ’র মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বুক করবেন।

রবি ক্যাশ এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বুকের সুবিধা সমূহঃ

  • টিকেট কাটার জন্য রেলস্টেশন লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
  • আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে অনুমোদিত – সার্ভিস টি নিরাপদ এবং সহজ।
  • ঘরে বসে কিংবা নিকটস্থ রবিক্যাশ এজেন্ট হতে ই-টিকেট নিশ্চিত করতে পারবেন।
  • সারা দেশে ১৫ হাজারের বেশি রবিক্যাশ এজেন্ট আপনার সেবায় নিয়োজিত।

রবি ক্যাশ এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বুক করার পদ্ধতিঃ

সেবাটি পেতে রবি গ্রাহকদের প্রথমে মোবাইল ফোন থেকে *১৩১# লিখে ডায়াল করে টিকেট বুকিং দিতে হবে। এরপর একটি সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে যাত্রার তারিখ, যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের নাম, শ্রেণী ও কাঙ্খিত সিট সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

টেকনো ইনফো বিডি'র প্রিয় পাঠক: প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চাকরির গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টেকনো ইনফো বিডি এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

টিকেট বুকিং প্রক্রিয়া শেষে বুকিং কোডসহ গ্রাহক সাথে সাথে একটি এসএমএস পাবেন যাতে টিকেটটি কেনার জন্য টাকার পরিমানও উল্লেখ থাকবে। এসএসএসটি গ্রহণ করার ৩০ মিনিটের মধ্যে দেশজুড়ে ররি’র ৩০ হাজার ক্যাশ পয়েন্টের যে কোনটিতে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করা যাবে।

মূল্য পরিশোধ করার পর গ্রাহক এসএমএসে একটি ই-টিকেট নম্বর পাবেন। এই ই-টিকেটটি রেল স্টেশনের কম্পিউটার কাউন্টারে দেখিয়ে গ্রাহকদেরকে প্রিন্ট টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেন ছাড়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে টিকেটটি সংগ্রহ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের ৫২টি রেলস্টেশনে এই ই-টিকেট পাওয়া যাবে।

টিকেট বুকিং নাম্বার হারিয়ে গেলে রবি কাস্টমার এর করণীয়ঃ

উপরের পদ্ধতি ছাড়াও গ্রাহকরা পুরো প্রক্রিয়াটি এজেন্ট পয়েন্টগুলোর সহায়তায় করতে পারবেন।

প্রতি সিটের টিকেটের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, টিকেটটি হস্তান্তযোগ্য নয় এবং একটি নাম্বার থেকে মাসে সর্বোচ্চ চারবার লেনদেন করা যাবে। মোবাইল-ভিত্তিক ট্রেন টিকেটিং সলিউশনটির মাধ্যমে সপ্তাহের সাত দিনই সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টিকেট কেনা যাবে। যাত্রার সর্বোচ্চ ১০দিন আগে থেকে টিকেট কেনার সুযোগ পাবেন গ্রাহকগণ।

Leave a Reply