ব্যাংকখাতের তারল্য বেশি হওয়ায় সুদ নেমে এসেছে মূল্যস্ফীতির নিচে

ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান। সঞ্চয়ের অর্থ জমা রাখেন ব্যাংকে। পূর্বে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ পেয়ে খুশি ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি আমানতের সুদ হার কমার হতাশ তিনি। ব্যাংকে টাকা রেখে লাভবান হচ্ছে না তিনি।
২০২০ সালের শুরুতেই আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অক্টোবরে সুদ হার নেমে আসে বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে অনেক নিচে। বর্তমানে একশ টাকা স্থায়ী সঞ্চয়ী হিসাবে মুনাফা দেয়া হয় ৪ টাকা ৭৩ পয়সা। সে হিসাবে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে বছর ব্যবধানে প্রকৃত ক্রয় ক্ষমতা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক নয় ছয় টাকা। অর্থাৎ সময়ের অবচয়ের সঙ্গে একশ টাকার মূল্যমান কমে এক টাকা চার পয়সা।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সুদ হারে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কথা থাকলে বিকল্প কম থাকায় বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৬-৯ সুদ হার বেঁধে দেয়ার পাশাপাশি অধিক তারল্যের কারণেই ব্যাংক খাতের নিম্ন সুদ হার বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সাহলেউদ্দিন আহমেদ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে প্রায় ৯৭ লাখ কোটি টাকার আমানতের মধ্যে বেসরকারি খাতের আমানত ছিলো প্রায় ৮১ শতাংশ।