ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৭ জনের কারাদণ্ড

এক কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ (ডিএমডি) ৭ জনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ইমামুল হক, এস ভিপি শাহ মো. হারুন, এস এ ভিপি আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ, এ ভিপি ফজলুর রহমান, ই ও তারিকুল আলম, এস ই ভিপি মাহমুদ হোসেন ও ইভিপি কামরুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তরা বর্তমানে চাকরিচ্যুত।
আসামিদের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ (২) ধারায় আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের এ সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাদের ৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া আত্মসাৎকৃত এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা ইমামুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।
২০০৫ সালে আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। যা ২০১০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুদে আসলে এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা। এরপর আদালত চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।